মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ১১:২৩ অপরাহ্ন

‘নীল জোছনা’ ‘পাওলি’

বিনোদন ডেস্ক : শুটিংয়ে এখন বাংলাদেশে আছেন ভারতীয় তারকা পাওলি দাম । বাংলাদেশে পাওলি দাম শেষবার অভিনয় করেন ‘সত্তা’ ছবিতে । ২০১৭ সালে ছবিটি মুক্তি পায় । এরপর বাংলাদেশের আর কোনো ছবিতে দেখা যায়নি তাঁকে ।

‘সত্তা’ ছবিতে পাওলি অভিনয় করেন শাকিব খানের বিপরীতে । জানা গেছে যে ‘সত্তা’ মুক্তির পর একাধিক ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাবও পেয়েছিলেন তিনি । কিন্তু ব্যাটে–বলে মেলেনি বলে কাজ করা হয়নি ।

‘সত্তা’ ছবির পর আবার বাংলাদেশের ছবির শুটিং শুরু করলেন পাওলি । তাঁর এবারের ছবির নাম ‘নীল জোছনা’। বানাচ্ছেন ফাখরুল আরেফীন খান । এই ছবিতে পাওলি অভিনয় করছেন পার্থ বড়ুয়া, এফ এস নাঈম, ইন্তেখাব দিনার ও মেহের আফরোজ শাওনের সঙ্গে ।

‘পাওলি’ শেষবার ঢাকায় আসেন কোভিডের আগে, দুই বাংলার একটা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজনে । ভারত-বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পুরস্কারের সেই আয়োজনে আসার পরও কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে কথা হয় । তবে কোভিডের কারণে সেসব ছবি করা হয়ে ওঠেনি ।

পাওলি জানান, কোভিডের পর তাঁর হিন্দি কাজের সংখ্যা বাড়তে থাকে । ওই সময় তিনি ওটিটিতে হিন্দি কাজ বেশি করেছেন ।

পাওলি বলেন, ‘কোভিডের সময় ওটিটির একটা বড় প্রভাবও শুরু হলো । কারণ, আমরা তো থিয়েটারে যেতে পারছিলাম না । সবাই ওটিটির কাজ দেখছিলেনও । আমিও করলাম “বুলবুল”, “রাত বাকি হ্যায়”, “দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান মার্ডার”, “কর্মযুদ্ধ”, “চার্লি চোপড়া দ্য মিস্ট্রি অব সোলাং ভ্যালি”। কথা প্রসঙ্গে পাওলি জানান, ফিচার ফিল্ম করা হয়নি । বলিউডে অবশ্য তখন ফিচার ফিল্ম হচ্ছিলও কম ।

‘নীল জোছনা’ ছবিতে কাজ করা প্রসঙ্গে পাওলি বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো লাগার কারণ হলো জনরা । সত্যি বলতে, এই ছবিতে অভিনয়ে রাজি হওয়ার একটাই কারণ, প্যারাসাইকোলজি । প্যারালাল ইউনিভার্স নিয়ে একটা গল্প হচ্ছে, যেমনটা বাংলায় খুব কম হয় । “নীল জোছনা” হচ্ছে প্যারালাল ইউনিভার্স প্যারাসাইকোলজি নিয়ে । অদ্ভুত শোনাবে যে কোভিডের পর এ ধরনের বিষয় নিয়ে অনেক কাজ দেখছিলাম। পড়ছিলামও । এ সময়ই আরেফীন আমাকে এই ছবির কথা বলেন । কাকতালীয় ব্যাপার! এভাবেই হয়তো কাজ হয়, যেটা হওয়ার । গত বছর আগস্ট-সেপ্টেম্বরে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলেন, এখন শুটিং করছি ।

এদিকে দীর্ঘ বিরতির পর ঢাকায় কাজ করার অভিজ্ঞতাটাও দারুণ বলে জানান পাওলি দাম । তিনি বলেন, ‘বিষয়টা একদম অন্য রকম । এই ছবিতে গ্রিন স্ক্রিনের বিপরীতে অনেক শুটিং হচ্ছে, যেটা আমাদের ছবির ক্ষেত্রে নিয়মিত নয় । প্রযুক্তিগত পুরো ব্যাপারটি একেবারেই নতুন। জনরাও নতুন । ভালো লাগছে এই ভেবে যে ছবিতে বাংলাদেশের খুব নামকরা কয়েকজন শিল্পী আছেন ।’

পাওলি মনে করেন যে দুই বাংলার আরও নিয়মিত কাজ হওয়া উচিত । তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আরও একজোট হতে পারলে, যেমন “সত্তা”য় শাকিব আর আমি একসঙ্গে কাজ করলাম, এরপর যদি আরও কাজ করতাম, তাহলে বাধার দেয়াল আরও তাড়াতাড়ি ভাঙত । সুযোগের যেমন ব্যাপার আছে, উদ্যোগেরও ব্যাপার আছে । দুই বাংলার উদ্যোগের খুব প্রয়োজন ।’

ঢাকা ও কলকাতার শিল্পীদের আসা–যাওয়ার মাধ্যমে কাজে বৈচিত্র্য আসা উচিত বলে মনে করেন পাওলি দাম । তাঁর মতে, অসাধারণ কনটেন্টের জন্য অভিনয়শিল্পীদেরর পাশাপাশি লেখকদেরও আসা–যাওয়া করা উচিত । পরিচালকদেরও উচিত । এখানকার পরিচালক, লেখক ওখানে গিয়ে কাজ করুন; ওখানকার পরিচালক, লেখকেরাও এখানে আসুন । শুধু অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নন, বদলটা কিন্তু তখনই হবে, যখন ক্যামেরার পেছনের মানুষদেরও যাতায়াত হবে ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com